ভূমি জরিপ কাকে বলে।জমির হিসাব?

 জমির হিসাব বা জমির মাপ: বলতে কোন জমির হ্মেত্রফল বের করারা আগে গড় দৈর্ঘ্য এবং গড় প্রস্থ বের করতে হবে। গড় দৈর্ঘ্য এবং গড় প্রস্থ বের করার জন্য দুটি দৈর্ঘ্য যোগ করে দুই দিয়ে ভাগ করতে হবে এবং দুটি প্রস্থ যোগ করে দুই দিয়ে ভাগ করতে হবে।  এরপর গড় দৈর্ঘ্য ও গড় প্রস্থ গুণ করলে হ্মেত্রফল বের হবে।

জরিপ কত প্রকার ও কি কি:

ইংরেজি Servey শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে জরিপ। জরিপ শব্দ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার হলেও ভূমি জরিপ বলতে বােঝায় মৌজা ভিত্তিক নকশা (Map) প্রণয়ন ও ভূমির মালিকানা সম্পর্কিত ভূমি রেকর্ড যা খতিয়ান প্রস্তুত কার্য প্রণালীকে বুঝায়। জরিপের সময় পুরাতন তৈরীকৃত নকশা ও রেকর্ড সংশােধন করে ভূমি বা জমির শ্রেণীর পরিবর্তনের সাথে মিল রেখে এবং মালিকানার পরিবর্তনের ধারাবাহিকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে হালকরণ (Uptodate) করে মৌজার নকশা এবং রেকর্ড তৈরী করা হয় । 


ভূমি মালিকানা আইন

ভূমি জরিপের উদ্দেশ্য কি:

 প্রতিটি ভূমির মালিকের অধিকার রয়েছে তার ভূমি বা জমির অবস্থান, আয়তন ইত্যাদি সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং মালিকানার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা । ১৮৭৫ সালে Servey Act এবং ১৯৫৭ সালে Technical Rules অনুযায়ী ভূমির জরিপ করা হয়। ভূমি জরিপের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভূমির পরিধি ও পরিমাপ এবং অবস্থান সম্বলিত একটি পূর্ণাঙ্গ নকশা (Map) তৈরী করা যাতে একজন ভূমি মালিক সহজেই তার ভূমি বা জমি সম্পর্কে অবগত হতে পারেন। শহর, গ্রাম ও থানায় ভিন্ন ভিন্ন অনুপাতে ধরা হয়। শহরে ৩২” X ৬৪” বা ৮০ = ১ মাইল, গ্রামে ১৬” = ১ মাইল এবং থানায় ৪” = মাইর অনুপাতে নকশা (Map) প্রস্তুত করা হয়। 





জরিপের শ্রেণীবিভাগ


ভূমি জরিপের শ্রেণী বিভাগ কয়টি?

3.ভূমি জরিপকে ২ (দুই) শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। যথা-

(ক) সার্বিক বা ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ (Major or Cadastral Servey)

(খ) দিয়ারা বা আংশিক জরিপ (Diara Or Minor Settlement)


➤  সার্বিক বা ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ (Major or Cadastral Servey) : 

সার্বিক বা ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে সি. এস নামে আমাদের নিকট ব্যাপকভাবে পরিচিত। বাংলাদেশে প্রথমে জেলাওয়ারী ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে করা হয়। পরবর্তীকালে সার্বিক বা ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভেকে প্রথম ক্যাডেস্ট্রাল সার্ভের সাথে পার্থক্য করার জন্য রিভিশনাল সেটেলমেন্ট অপারেশন (Revisional Settlement Operation) বা আর. এস. নামে আখ্যায়িত করা হয়। কোন ভূমি বা জমি রাজস্ব ইউনিটের সমস্ত এলাকার (জেলা) নকশা এবং রেকর্ড প্রস্তুত করার জন্য যে জরিপ কার্য পরিচালনা করা হয় তাকে সার্বিক বা ক্যাডেস্ট্রাল জরিপ বলে । 


➤ দিয়ারা বা আংশিক জরিপ?


   দিয়ারা বা আংশিক জরিপ (Diara Or Minor Settlement) : 

একটি জেলায় সম্পূর্ণভাবে এই জরিপ করা হয় না বলে একে আংশিক (Minor) জরিপ বলা হয়। সাধারণত নদী বা সাগর থেকে জেগে উঠা চর (সিকস্তি / পয়স্তি) জরিপ করার ক্ষেত্রে এই জরিপ কার্য পরিচালিত হয়। সম্ভবত দরিয়া শব্দ থেকেই দিয়ারা শব্দের উৎপত্তি। দরিয়া থেকে চর বা জমি জেগে উঠা জরিপ সংক্রান্ত হওয়ায় এই জরিপটি দিয়ারা জরিপ নামেও ব্যাপকভাবে পরিচিতি|


➤সি এস জরিপ কাকে বলে?


সি এস জরিপ: cad astral Servey এর পূর্ণরুপ ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভেকে সংক্ষিপ্ত ভাবে সি. এস. জরিপ বলে। দেশের সমস্ত ভূমি বা জমির উপর বিশদভাবে নকশা প্রণয়ন এবং সেখানে প্রত্যেক মালিকের জন্য একটি দাগ নম্বর করে খতিয়ান তৈরি করাকে সি. এস বা ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ বলে। বঙ্গীয় প্রজাতন্ত্র আইনের ১০ম অধ্যায়ের বিধান অনুযায়ী এই সি. এস. জরিপ করা হয় । 


➤আর এস জরিপ কাকে বলে? 

আর এস পূর্ণরূপ 

রিভিশনাল সেটেলমেন্ট (Rivisional Settlement) কে সংক্ষিপ্ত ভাবে আর. এস. জরিপ বলা হয় । B. T Act. ১৮৮৫ এবং Servey Act ১৯৭৫ সালের বিধান অনুযায়ী ১৮৮৯ হতে ১৯৪০ মধ্যবর্তী সময়ে সি. এস বা ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ পরিচালিত হয়। সি. এস. জরিপ সমাপ্তির পর কিছু কিছু জেলায় এই জরিপ সংশোধনের প্রয়োজন হয়ে পরে। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী আর. এস বা Rivisional Settlement পরিচালিত হয়। এটাই আর. এস Rwic।


➤ আর, এস জরিপের আবশ্যক কি? 

আর এস,rs জরিপ 

রিভিশনাল সেটেলমেন্ট ( Rivisional settlement) আর এস পূর্ণরূপ বা সংকিপ্ত ভাবে আর এস জরিপ বলা হয়। B.T ১৮৮৫ এবং Servey Act ১৯৭৫ সালের বিধান অনুযায়ী। 

ভূমির বা জমির নকশা ও রেকর্ড যদি যথাযথ না থাকে তাহলে একজন ভূমির মালিক ও সরকারী কর্মকাণ্ডে বিভিন্ন ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তাই আর. এস বা সংশোধনী জরিপের আবশ্যক অপরিসীম। নিচে Uptodate জরিপের আবশ্যকতার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হলো-


১) বিভিন্ন মৌজার সরকারী খাস জমি চিহ্নিত করণ ও তার পরিমাণ নির্ণয়। 


২) ভূমিহীনদের মধ্যে সরকারী খাসজমি বণ্টনের লক্ষ্যে খাসজমি চিহ্নিত করণের জন্য আর. এস বা সংশোধিত জরিপ প্রয়োজন। 

৩) ভূমি সংস্কার অধ্যাদেশ অনুযায়ী বর্গাদার চিহ্নিত করার জন্য সংশোধিত জরিপ প্রয়োজন। 


৪)পরিবারের জন্য জমির উর্ধ্বসীমা আইন কার্যকর করার জন্য সংশোধিত জরিপ আবশ্যক। 

৫) ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য ও আদায় করার জন্য আর. এস জরিপ প্রয়োজন। 


৬) ভূমি উন্নয়ন প্রশাসনের সহযোগীতার জন্য এই জরিপ প্রয়োজন। 


৭) ফ্যামিলি বা পরিবার ভিত্তিক ভূমির মালিকানা নির্ণয় করার জন্য আর. এস।

জরিপ Uptodate রাখা প্রয়োজন।


জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ কী করবেন


যদি কোন ব্যক্তির সাথে আপনার জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকে। তাহলে প্রসাশন কর্তৃক অনুমাদিত নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করে ডিসপিউট। (DISPUTE) দিতে হবে। এই ডিসপিউট দেওয়ার পর একজন কানুনগো। উভয় পক্ষের শুনানীর মাধ্যমে এবং দলীল দস্তাবেজ পর্যালোচনা করে তার । রায় দিবেন। এই রায় যার অনুকুলে যাবে আমিন তার নাম জরিপের সময়। রেকর্ডভুক্ত করবেন।


জমিনভুলে অন্যের নামে রেকর্ড হলে কি করব 

তসদিকের সময় করণীয়-

খানাপুরী বুঝরত কর্মসূচী শেষ হওয়ার পর একজন তসদিক অফিসারের। নেতৃত্বে মৌজা রেকর্ড ২৮ বিধি মোতাবেক তসদিক করা হয়। এই তসদিক। অনুষ্ঠিত হওয়ার কর্মসূচী প্রশাসন সাধারণ নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দেন। তসদিকের সময় একজন ভূমি বা জমি মালিকের করণীয় হচ্ছেআপনার জমির মালিকানা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র, দলীল দস্তাবেজ (যেমন- পূর্ববর্তী রেকর্ডের পর্চা অথবা ক্রয়সূত্রে মালিকানার ক্ষেত্রে দলিলপত্র, খাজনার রশিদ ইত্যাদি) তসদিক অফিসারের সামনে উপস্থাপন করে যথাযথভাবে তসদিক সম্পন্ন করে নিতে হবে। এই সময়ে খসড়া পর্চা প্রয়োজন মতো সংশোধন করে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যদি মাঠে প্রস্তুতকৃত রেকর্ডে কোন ভুল বা ত্রুটি লক্ষনীয় হয় অর্থাৎ যদি কোন আসল মালিকের নাম বাদ পরে বা জালিয়াতির মাধ্যমে কোন অবৈধ ব্যক্তির নাম খতিয়ানে লেখা হয়ে থাকে অথবা অন্য কোন ভুল পরিলক্ষিত হয় তাহলে তা সাথে সাথে তসদিক অফিসারের দৃষ্টিগোচরে আনতে হবে। তার পর তসদিক অফিসার উক্ত ত্ৰুটি পর্যালোচনা করে রেকর্ড সংশোধন করে দিবেন। 


জমির রেকর্ড কত বছর পর পর হয়?


রেকর্ডের খসড়া প্রকাশনার পর করণীয় 

২৯ বিধি অনুযায়ী তসদিক শেষ হওয়ার পর ভূমি রেকর্ডের খসড়া প্রকাশিত হয় যা ভূমি মালিক বা তার প্রতিনিধিদের পর্যবেক্ষণের জন্য ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবস খোলা রাখা হয়। এই খসড়া রেকর্ডে যদি কোন ভূল বা ত্রুটি লক্ষ্য করেন তাহলে ৩০ ধারায় আপত্তি কেস দাখিল করতে হবে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, জমি জরিপের সময় কিছু অসাধু ব্যক্তি আবির্ভূত হয়, দালাল নামে চিহ্নিত এই ব্যক্তিগণ আপনার ভূমির জরিপ কর্মকাণ্ড সহজভাবে করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আপনাকে প্রতারিত করতে পারে এক্ষেত্রে ঐসব অনাকাঙ্খিত ব্যক্তিদের এড়িয়ে নিজে অথবা আপনার বিশ্বস্ত প্রতিনিধিকে দিয়ে জরিপের কর্মকাণ্ড সমাধান করাই ভাল। ৩০ ধারা আপত্তি কেস দাখিলের পর কেস শুনানীর সময় আপনার আপত্তির স্বপক্ষে দলিল দস্তাবেজ এবং সাক্ষীদের উপস্থিত করতে হবে। এই আপত্তি কেসের রায় যার বিপক্ষে যাবে তিনি প্রয়োজন মনে করলে ৩০ দিনের মধ্যে আইন অনুযায়ী আপীল দায়ের করতে পারবেন। 


সীমানার জিয়াদা (Try Junction) কাকে বলে? 


তিহাটি মৌজার সীমানার মধ্যস্থলে একশরে একটি ৬০ কড়ি ব্যাসবিশিষ্ট ত্রিভূজ আকারের পাথর নির্মাণ করা থাকে। তাকে ত্রিসীমানা, জিয়াদা বলে । এটি সরজমিনে পুঁতে দেওয়া হয়। এটি অতি প্রয়োজনীয় স্থায়ী পাথর। যদি প্রয়োজনে উহা স্থানান্তরিত করার প্রয়োজন হয় তাহলে সরকারী আমিন এসে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে যাবেন।

কোন বৃহত্তম মৌজার নকশা যদি একটি সিটে না ধরে তখন দুটি বা ততোধিক সিটে নকশা আঁকতে হবে এবং উভয় সিটের মধ্যে মিল রাখার জন্য যে লাইন দেওয়া হয় তাকে মার্জিন লাইন বলে। 


* কায়দা চরৌথ কাকে বলে?


   কোন একটি মৌজা চারটি সিটে (পেপারে) থাকে। উক্ত সিট (পেপারগুলি) সোজাসুজি করবার জন্য আমিনগণকে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়াকে কায়দা চরৌথ বলে। 


* আর পাসী কাকে বলে?


   সেচের নিমিত্ত একটি কর্ম আছে তাকে আর পাসী বলে। 


* পরতাল লাইন কাকে বলে? 


মৌজার কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয় গেলে এক চাদা থেকে অপর চাদা পর্যন্ত কিশায় যে লাইন দেওয়া হয়, তাকে পরতাল লাইন বলে। নকশায় মাপ করে সেই মাপ সরজমিনে চেন চালিয়ে কাঠা ইত্যাদি পরীক্ষা করে দিতে হবে । যদি মিল হয় কিশাটি ঠিক হয়েছে বুঝতে হবে। পরতাল দু প্রকারের হয়। যথা- (i) Final paratl (ii) Personal Final Paratal :- ফাইনাল পরতাল করেন আমিন আর Personal Paratal করেন সার্ভে ইন্সপেকট্র বা উচ্চ পদস্থ কর্মচারী।


চেন ( চেইন) কাকে বলে


ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লৌহ শলাকা দ্বারা গঠিত দুই পার্শ্বে দুটি পিতলের হাতল সংযুক্ত যে যন্ত্র দ্বারা জমির পরিমাপ করা হয় তাকে চেন বলে। 


ওয়াপসী লাইন কাকে বলে?


 পয়েন্টের সাহায্যে আগে বা পিছনে যে লাইন ইচ্ছামত পরিবর্ধিত করা যায় তাকে ÔIqvcmÕ লাইন বলে ।


* চেন (চেইন) কয় প্রকার ও কি কি? 


 চেন সাধারণত পাঁচ প্রকারের হয়- (১) শাজাহান পুরী (2) শাত্ৰাদী (৩) ফরেকাবদী (৪) ফতেপুরী (৫) এবং গান্ট্রার্স চেন। 

পন্ট্রোর্স বা গান্ট্রার্স চেন বাদে অন্যান্য চেনগুলি সার্ভে সেটেলমেন্টের কাজে ব্যবহৃত হয় না কারণ প্রত্যেক চেন Fraction রয়েছে। গান্ট্রার্স চেন দ্বারা একর, ডেসিমেল বার করতে সুবিধা হয়।


 * কাঁচি লাইন কাকে বলে? 


চেনা চালিয়ে দুই পাশের জমি নেওয়ার পরেও বাকি পুটগুলি ফিল্ড ব্লকে তোলার জন্য বিপরীত দিকে চাদা স্থাপন করে চেন লাইনকে না কেটে যে লাইন দেওয়া হয় তাকে কাচি লাইন বলে ?


তুদা কাকে বলে? 


মৌজা ট্রাডার্স দেওয়ার সময় জমির কোনে বাঁকে যে সমস্ত স্টেশন স্থাপন করা হয় এবং উ ও স্টেশন ও নিদর্শন স্বরূপ মাটির যে স্তুপ তৈরী করা হয় তাকে তুদা বলে। 


গাইডিং লাইন কাকে বলে? 


প্লেন টেবল সার্ভে করার সময় উপরে ও নীচে দুটি স্টেশন স্থাপন করে কোনও অনিবার্য কারণ বশত মধ্যস্থল বাদ রেখে বস্তি কিস্তোয়ারের সময় সাইট ভ্যানের সাহায্যে মধ্য স্থল দিয়ে যে লাইন দেওয়া হয় তাকে গাইডিং লাইন বলে। 


কম্বা কাকে বলে? 


ট্রাডার্স স্টেশন গুলিকে কম্বা বলে । মৌজার ‡মাট ক্ষেত্রফল বা মৌজার মধ্যস্থ ক্ষেত্রাদির নকশা অঙ্কন করার জন্য প্লেন টেবিল দ্বারা মৌজার চারিদিকে যতগুলি স্টেশন প্রস্তুত করে কিশায় নির্দিষ্ট পরিমিত সরল রেখা অঙ্কন করা হয় । ঐ রেখাগুলি সর্বদা পাশাপাশি থাকে। এ রেখাগুলিকে ট্রাডার্স বা সাবডেয়ারী লাইন বলে। 


কিস্তোয়ার কাকে বলে? 


সরজমিনে প্রতি পুটের পৃথক পৃথক ভাবে অফসেট নিয়ে সিট পেপারের সেই আকার অনুযায়ী যে নকশা অঙ্কন করা হয় তাকে কিস্তোয়ার বলে। 


সাইট ভ্যান কাকে বলে? 


এটি কাঠের তৈরী সার্ভের একটি যন্ত্র। এটির এক পাশে আই সাইট (Eye Sign) ও অপর পাশে অবজেকট সাইট (Object sight) রয়েছে। আইসাইটের দিকে উপরের মধ্যস্থলে ও নীচে তিনটি ছিদ্র থাকে। অবজেক্ট সাইট এর উপরে ও নীচে ছিদ্র দুটির মধ্যে সরু সুতা, সরু তার কিংবা পশুর ললাম দ্বারা বন্ধ থাকে। এটি লানি সমসূত্র করার জন্য বিশেষ সাহায্য করে। 


সাবটাডার্স লাইন বা পেটা লাইন কাকে বলে? 


কোন একটি মৌজার মোরব্বা করা অসুবিধা হলে ট্রান্ডার্স রেখার অনুরূপ এক পার্শ্বে হতে বিপরীতে পার্শ্ব পর্যন্ত কতগুলি স্টেশন স্থাপন করে দেওয়া হয়।

মনে রাখতে হবে যে, উক্ত স্টেশন গুলি হতে দু-পার্শ্বে ট্রাডার্স দেওয়া যায় । পরে ওই স্টেশন গুলি যােগ করে যে লাইন দেওয়া হয় তাকে সাব ট্রাডার্স লাইন বা পেটা লাইন বলে। 


অফসেট কয় প্রকার ও কি কি? 


অফসেট দু প্রকারের হয়। (১) রাইট অফসেট (Right Offset) এবং (২) অবলিগ অফসেট (Obligue Offset)। 


রাইট অফসেট : চেন ও রাইট এঙ্গেল (Right angle) যন্ত্রের সাহায্যে সমকোণ করে জমির কোনে ও বাকে যে অফসেট দেওয়া হয়, তাকে রাইট অফসেট বলে । 


অবলিগ অফসেট : রাইট এঙ্গেল (Right Angle) যন্ত্র না নিয়ে শুধু চেন ও ফিতার সাহায্যে সমকোণ করে যে অফসেট নেওয়া হয় তাকে অবলিগ অফসেট বলে। 


বাউন্ডারি বা বাউন্ডারি প্লট কাকে বলে ? 


মৌজার প্রকৃত সীমানাকে বাউন্ডারি (Boundary) বলে । এর নকশাকে বলা হয় বাউন্ডারি প্লট। বাউন্ডারি কয় প্রকার এবং কি কি? বাউন্ডারি তিন প্রকার। যথা- (১) ভিলেজ বাউন্ডারি (2) ন্যাচারাল বাউন্ডারি এবং (৩) এভার বাউন্ডারি। 


ভিলেজ বাউন্ডারি : কানও মৌজার নকশা প্রস্তুত করার সময় মৌজার চারদিক ঘুরে কোন ও বাকের স্টেশন গুলি যোগ করে যে লাইন দেওয়া হয় তাকে ভিলেজ বাউন্ডারি বলে। 


ন্যাচারাল বাউন্ডারি : প্রাকৃতিক অবস্থা দেখে গ্রামের বা মৌজার যে সীমানা নির্দেশ করা হয় তাকে ন্যাচারাল বাউন্ডারি বলে।


 রিভার বাউন্ডারি : কোন নদী বা খালের নকশা প্রস্তুত করার সময় দু পারে যে লাইন দেওয়া হয়, তাকে রিভার বাউন্ডারি বলে।


 ডিমারকেশন (বিভাজন) কাকে বলে?


 গত সেটেলমেন্টের নকশা অনুযায়ী কোন একটি সরেজমিনের মাপ করে সীমানা নির্ধারিত করাকে ডিমারকেশন বলা হয়। প্লেন টেবিল কাকে বলে? প্লেন টেবিল হলো ১ ইঞ্চি পুরু তক্তা, সেগুন কাঠের তৈরী একটি টেবিল । এটির ওপর সিট পেপার এঁকে নকশা আঁকতে হয়।


সিট বা সিট পেপার কাকে বলে? 


নকশা আঁকার কাজে যে পেপার লাগে তাকে সিট পেপার বলা হয় । ঐ কাগজ ২ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা ও ২ ফুট চওড়া হয়। এই কাগজে সমান্তরাল সরল রেখা টেনে কত গুলি ১ ইঞ্চি পরিমাণ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বর্গাকার ভাগে ভাগ করা থাকে-এটি কে বলা হয় সিট বা সিট পেপার । 


সার্ভে সাধারণত কয় প্রকার? 


সার্ভে চার প্রকারের হয়, যথা (১) বাকবস্তু সার্ভে (২) ক্যাডাষ্ট্ৰাল সার্ভে (৩) রেভিনিউ সার্ভে (৪) রিভিসনাল সার্ভে।


 বাকবস্তু সার্ভে : এই সার্ভেতে কোন স্কেল করে মাপ করা হয় না। কেবল জমির আকার অনুযায়ী প্রতিটি, মৌজার একটি করে হাত নকশা প্রস্তুত করা হয়। 


ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে : 

রেভেনিউ সার্ভে : এই সার্ভেতে ৪টি সমান ১ মাইল স্কেলে কয়েকটি প্রসিদ্ধ স্থানের নকশা আঁকা হয়েছিল। যথা- মসজিদ, মন্দির, ডাকবাংলা, ডাকঘর ইত্যাদি, এই সার্ভেতে প্রত্যেকটি মৌজার এক একটি করে নম্বর দেওয়া হয়েছিল। তা আজও সেই নম্বর হিসেবে প্রচলিত হয়ে যাকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। 


রিভিসনাল সার্ভে : 

এই কথাটির অর্থ দ্বিতীয় বার পরীক্ষা করা, অর্থাৎ সাবেক নকশা দৃষ্ট বর্তমানে আবার খসড়া খতিয়ান সংশোধন করে যে সার্ভে করা হয়, তাকে রিভিসনাল (Revisional) সার্ভে বলে । 


উইল কাকে বলে?

 ‘উইল' হল ইচ্ছাপত্র । কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পূর্বে তার সম্পত্তি কিভাবে ভাগ বণ্টন হবে এবং কোন ব্যক্তি বা কোন কোন ব্যক্তিরা সেই সম্পত্তি পাবেন তা লিখে রেখে গেলে সেই লিখিত ইচ্ছাপত্রকে উইল বলে। মৃত্যুর পূর্বে উইল বলবৎ হয় না। এই উইল বলবৎ করার জন্য প্রবেট নিতে হয়। 


প্রবেট' কাকে বলে? 

উইলকারী প্রয়াত ব্যক্তির সম্পত্তি পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে সম্পত্তিটি যে অঞ্চলে অবস্থিত, সেই স্থানের উপযুক্ত ক্ষমতা সম্পন্ন কোর্টের শীলমোহর ও সার্টিফিকেট প্রাপ্ত উইলের প্রতিলিপিকে ‘প্রবেট' বলে। প্রবেট’ নিতে হলে প্রবেট’ ডিউটি দিতে হয়।


আরো পরুন


জমি কেনার আগে যা যা দেখতে হবে



চট্টগ্রাম ভূমি রেকর্ড অফিস: মৌজা তালিকা



খতিয়ান কি: জমির খতিয়ান পরিচিতি 



ই- সেবা পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন 


অনলাইনে যে কোন মৌজার যে কোন খতিয়ান ঘরে বসে বের করতে ক্লিক করুন। 


সরকারি তথ্য ও সেবা পেতে কল করুন।৩৩৩


জরুরি সেবা পেতে ✆ ৯৯৯


নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করতে ✆ ১০৯

দুদককে কল করুন ✆ ১০৬


দুর্যোগের আগাম বার্তা পেতে ✆ ১০৯০


ভূমি সেবা অভিযোগ করতে ✆ ১৬১২২


মন্ত্রণালয়ের হটলাইন নাম্বার ✆ ১৬১১৩


শেখ রাসেল কুইস ২০২২


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post