ফ্ল্যাট, বাসা ও দোকান ভাড়া চুক্তিপত্রের নিয়ম ২০২৪! ভারার চুক্তিপত্র
ফ্ল্যাট, বাসা ও দোকান ভাড়া চুক্তিপত্রের নিয়ম ২০২৪
ফ্ল্যাট, বাসা ও দোকান ভাড়া নিয়ে ভাড়াটিয়া ও মালিক উভয় পক্ষ নিরাপদ ও নিশ্চত থাকতে চাই।বাসা ভাড়া নিতে সাধারনত কোন চুক্তি করতে হয় না। কিন্তু দোকান ভাড়া নিতে চুক্তিপত্রের প্রয়োজন হয়।কারণ বাসা ভাড়া নিলে যে কোন সময়ে বাসা পরিবর্তন করা যায়।এবং দোকান ভাড়া নিলে যে কোন সময়ে পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না। দোকান ভাড়া হয় দীর্ঘস্থায়ী ও দোকানে অনেক টাকা পুঁজি খাটাইতে হয়।
চুক্তিপত্র লিখার নিয়ম ও নমুনা
রিয়াজুল ইসলাম, পিতা- সিরাজ মিয়া, মাতা- নাসিমা বেগম, ঠিকানা- আতুরার ডিপু হাসেম বাজার, ডাকঘর- আমিন জোটমিলস, থানা- বায়েজিদ বোস্তামী, জেলা- চট্টগ্রাম।
==========প্রথম পক্ষ মালিক।
মোহাম্মদ শফিক উল্লাহ, পিতা- মোতালিব, মাতা- সায়েরা খাতুন, ঠিকানা- হামজারবাগ, ডাকঘর- আমিন জোটমিলস, থানা- পাঁচলাইশ, জেলা- চট্টগ্রাম।
=======দ্বিতীয় পক্ষ বাড়াটিয়া।
পরম করুণাময় মহান আল্লাহর নাম স্বরণ পূর্বক অত্র ফ্ল্যাট, বাসা ও দোকান ভাড়া চুক্তিপত্রের বয়না আরম্ভ করিলাম। যেহেতু আমি প্রথম পক্ষ নিম্ন তফশীলোক্ত বর্ণিত বাড়ির মালিক ও ভোগদখলকার হিসাবে স্থিত আছি।আমি মালিক পক্ষ প্রকাশ্যে ভাড়াটিয়া হিসাবে ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব বা ঘোষণা করিলে আপনি দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত প্রস্তাবে রাজি ও সম্মত হইলে আমরা উভয় পক্ষ নিম্নলিখিত শর্তাধীনে অত্র ফ্ল্যাট, বাসা ও দোকান ভাড়া চুক্তিপ্রত্র সম্পদন করিলাম।
ভারাটিয়া চুক্তির শর্তাবলি
১। ২য় পক্ষ ভাড়াটিয়া জামানত হিসাবে ৫০০০/- টাকা ১ম পক্ষ জমিদারকে ফ্ল্যাট, বাসা ও দোকান ভাড়া অগ্রিম বাবদ প্রদান করেন।উক্ত অগ্রিমের টাকা ১ম পক্ষ জমিদারের নিকট জমা থাকিবে। জমাকৃত টাকা চুক্তির মেয়াদ ৩ বছর পূর্তি না হওয়ার আগে ২য় পক্ষ ভাড়াটিয়াকে ফেরৎ দেওয়া যাবে না। উক্ত দোকানের মাসিক ভাড়া ৫০০০/- টাকা। ২য় পক্ষ উক্ত ফ্ল্যাট, বাসা ও দোকান গৃহের মাসিক ভাড়া অবশ্যই মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ করিতে হবে।
২। যে কোন কারণে ৩ মাসের ভাড়া বকেয়া হইয় পড়িলে মালিক পক্ষ বা ১ম পক্ষ নাম মাত্র বা মামুলী নোটিশ প্রদান করিয়া ২য় পক্ষের নিকট হইতে ফ্ল্যাট, বাসা ও দোকান গৃহ বুঝিয়া নিতে পারিবেন। সে ক্ষেত্রে যে কোন রকমের ওজর, আপত্তি সর্বাদালতে অগ্রাহ্য হইবে।
৩। ফ্ল্যাট, বাসা ও দোকান বন্ধ অবস্থায়ায়ে যে কোন পক্ষ মামলা করুক না কেন যতদিন পরেই মামলার রায় হোক না কেন, দোকান ভাড়া আদায় করা কখনো বন্ধ রাখা চলিবে না।
৪। অত্র ফ্ল্যাট, বাসা ও দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র অদ্য ……ইং তারিখ হইতে আরম্ভ হইয়া আগামী …… ইয় তারিখ পর্যন্ত অর্থাৎ …. বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে।
৫। প্রথম পক্ষ চুক্তিপত্র চলাকালীন দ্বিতীয় পক্ষের নিকট ৫০০০/- টাকা অগ্রীম প্রহণ করিয়া ফ্ল্যাট, বাসা ও দোকান বুঝাইয়া দিলেন।
৬। অত্র ফ্ল্যাট, বাসা ও দোকান চুক্তির মেয়াদকালের মধ্যে ফ্ল্যাট, বাসা ও দোকানগৃহ কোন প্রকার ক্ষয় ক্ষতি হইলে ফ্ল্যাট, বাসা ও দোকান ভাড়া ছাড়িবার আগে তাহা দ্বিতীয় পক্ষ নিজ খরচে তাহা মেরামত করিয়া দিতে বাধ্য থাকিবেন। যদি তাহা মোরামদ করিয়া না দেন তবে ২য় পক্ষের জামানতের টাকা হইতে তাহার ক্ষতিপূরণের টাকা রাখিয়া বাকি টাকা ফেরৎ দেওয়া হইবে।অর্থাৎ দ্বিতীয় পক্ষ কোন প্রকার অভিযোগ বা মামলা মোকদ্দমা করিলে সর্বাদালতে অগ্রাহ্য বলেগণ্য হেইবে।
৭। দ্বিতীয় পক্ষ ভাড়াটিয় তফসিল বর্ণিত ফ্ল্যাট, বাসা ও দোকানগৃহে কোন প্রকার অবৈধ বা অসামাজিক কর্মকান্ড করিতে পারিবেন না। অবৈধ কোন কার্যকালাপ করিলে ২য় পক্ষ দায়ী থাকিবেন।
গ্যাস, পানি ও বিদ্যুদ বিল দ্বিতীয় পক্ষ
বহন করবে।
তফসিল
জেলা…………….., থানা………………হোল্ডিং নং…..……….., ফ্লোর/তলা…………., রুম…………….., ইত্যাদি ভাড়াকৃত বটে।
আমরা উভয় পক্ষ অত্র চুক্তিপত্র পড়িয়া, পড়াইয়া মর্ম সম্যক অবগত হইয়া, সুস্থ শরীরে ও সুস্থ মস্তিষ্কে, স্বেচ্ছায়, সজ্ঞানে, অন্যের বিনা প্ররোচনায় সাক্ষীগণের মোকাবেলায় চুক্তিপত্রে নিজ নিজ নাম দস্তগত করিলাম।
সাক্ষীগণের স্বাক্ষর:
১।……………………………
২।…………………………….
৩।…………………………….
………………………………..প্রথম পক্ষ/মালিকের স্বাক্ষর
………………………………...দ্বিতীয় পক্ষ/ভাড়াটিয়ার স্বাক্ষর
আরো পড়ুন